মুন্সীগঞ্জে নিরাপত্তাকর্মী খুন!২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী গ্রেফতার

Estimated read time 1 min read


মে,১১,২০২৪

আবু হানিফ রানা:


মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বন্ধ হয়ে থাকা রি রোলিং মিল থেকে নিরাপত্তা কর্মী আব্দুল কুদ্দুসের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চেয়ারে বসিয়ে রাখা গলা কাটা মরদেহটির হাত ওড়না দিয়ে হাতলে বেঁধে রাখা ছিল।

মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খাঁনের দিক নির্দেশনা মোতাবেক হত্যকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের সনাক্তসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের সুরদিয়া গ্রামের লিজেন্ড স্টিল রি রোলিং মিল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন শ্রীনগর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর।

নিহত নিরাপত্তা কর্মীর নাম আব্দুল কুদ্দুসের বয়স আনুমানিক ৫০ বছর,বাবার নাম লাল মিয়া আকন্দ,গ্রাম-জয়শ্রী,থানা ও জেলা ঝালকাটি।

স্থানীয়দের বরাতে কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু বলেন, গত কয়েক মাস ধরে রি রোলিং মিলটি বন্ধ থাকায় নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল কুদ্দুস একাই সেখানে থাকতেন। শুক্রবার বিকালে পথচারীরা অর্ধ খোলা গেট দিয়ে মিলের ভিতরে তার লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আব্দুল কুদ্দুসের খালি গায়ের গলাকাটা লাশটি একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে বসানো ছিল এবং তার দুই হাত চেয়ারের হাতলের সঙ্গে হলুদ রঙের ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল।মিলটি বন্ধ থাকায় সেখানে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। ম্যানেজার কাউসার হোসেনের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে একজন জানান এই নম্বরটি কাউসার আর ব্যবহার করেন না।

প্রসঙ্গত: প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে জানাযায়,লিজেন্ট স্টীল রি রেলিং মিলের মালিক ককুটিয়া ইউনিয়নের সুরদিয়া গ্রামের মাঈনুদ্দিনের ছেলে মাহাথির উদ্দিন রাতুল (৩২) এর সাথে আসামী শহিদুল ইসলাম লিটনের ব্যবসায়ী দেনদেন ছিলো। পাওনা টাকার জন্য বারেংবার তাগিদ দিলেও প্রাপ্ত টাকা পরিশোধ করেনি মিল মালিক । আসামীর ধারনা মিল মালিক ,কর্মচারী,নৈশপ্রহরীসহ পাওনা টাকা আত্মসাৎ করেছে। সেই ধারনা থেকে গত ৯-৫-২৪ইং তারিখে আসামী শহিদুল ইসলাম সিএনজি যোগে তার সহযোগি আসামী রতন,জাবেদ কে সঙ্গে নিয়ে ককুটিয়ার সরদিয়া রি রোলিং মিলে আসে এবং নৈশপ্রহরী আব্দুল কদ্দুসকে ঘুম থেকে থেকে ডেকে উঠিয়ে রুমে থাকা প্লাষ্টিকের চেয়ারে বসিয়ে চেয়ারের সাথে হাত পা বেঁধে ধারালো চাকু দিয়ে জবাই করে হত্যা করে দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।


এলাকার লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থল আসে শ্রীনগর থানা পুলিশ এবং লাশের সুরতহাল নোট করে হত্যাকান্ডের সঠিক তথ্য জানার জন্য মরাদেহ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন।


পরবর্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খাঁন পিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় পুলিশের নিজ¯ বিভিন্ন^ কৌশল অবলম্বন করে শ্রীনগর থানা পুলিশ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সমন্বয়ে শরীয়তপুর ও মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত ছদ্মবেশে থাকা আসামী শহিদুল ইসলাম লিটন (৪০) রতন (৩৪) জাবেদ (৪০ কে গ্রেফতার করে।


এবিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

www.bbcsangbad24.com
তারিখ ১১-৫-২৪

আরও দেখুন আমাদের সাথে......

More From Author